প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে জেলে গিয়ে তাকে আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
গণমাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক শতরূপা বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির খবর আমরা পাচ্ছি। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি কি পুনর্বিবেচনা করবেন
এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আইনগত ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন,আমি জিজ্ঞেস করি পৃথিবীর কোন দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? তাদের যদি চাইতে হয়, তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার যে টুকু ক্ষমতা আছে তার সাজা স্থগিত করে আমি তাকে বাড়িতে থাকার পারমিশন (অনুমতি) দিয়েছি। তিনি নিজেই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে দামী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যদি তাকে বাইরে যেতে হয়, তাহলে এখন তাকে বাসায় থাকার যে পারমিশন দিয়েছি, এটা আমাকে উইথড্র (প্রত্যাহার) করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে ও কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয়, তখন সে যেতে পারবে। এটি হলো বাস্তবতা।
দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছেন তার স্বজন ও বিএনপিনেতারা। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি আবেদনও করেছেন খালেদা জিয়ার ভাই, যা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।